শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, পুলিশ-প্রশাসন ও যুগপৎ-মহাজোটের মোসাহেব-দালালদের উসকানিতে একের পর এক সহিংসতায় বর্তমান ও সাবেক ক্ষমতাসীনরা দায়ি। আজ (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় বিজয় মিলনায়তনে (২৭/৭ তোপখানা রোড(পঞ্চম তলা) ঢাকা ) অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচনে নতুনধারা না অংশ নিলেও আছে জনদাবি বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ লিজা, সদস্য মামুন রায়হান, সালমান হোসাইন, মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, বিজয়ের মাসে সহিংসতা, পুলিশী হয়রানী-মিথ্যে মামলাসহ সকল অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে আমরা রাজপথে আছি-ছিলাম-থাকবো বরাবরের মত। ৩৮ দিনে ২৫২ টি যানবাহন ও ৮২ টি দোকান বা স্থাপনা ভাংচুর, ২৪৬টি বাহন ও ৩৪ দোকান স্থাপনায় অগ্নি সংযোগে আহত হয়েছেন সাংবাদিক-পুলিশসহ ৩১৭ জন সাধারণ নাগরিক আহত এবং নিহত হয়েছেন একজন পুলিশ সদস্যসহ ২ জন। এছাড়াও হামলার শিকার হয়েছেন ১৫১ জন, হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৩১ জন নাগরিক। এমতবস্থায় অসহায় সাধারণ মানুষ সহিংসার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেয়া তো দূরের কথা নিজেদের জীবন-জীবীকার তাগিদে ঘর থেকেই বের হতে শঙ্কায় ভুগছে।
এসময় সহিংসতা, অর্থনৈতিক সংকট ও চলমান নির্বাচনের অস্থিতীশীল পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য নতুনধারার পক্ষ থেকে সরকার, রাজনৈতিক দলসমূহ এবং জনগণের প্রতি ৪ টি সুপারিশ করেন মোমিন মেহেদী। সুপারিশগুলো হলো- (সরকারের প্রতি) ১. অগ্নি সংযোগ এবং হামলাকারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে বিচার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে সকল সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং সার্বক্ষণিক তত্বাবধায়নের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনকে আরো কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিন ২. তত্বাবধায়ক বা দল নিরপেক্ষ নয়, প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচনকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে নির্বাচন সম্পন্ন করা হোক, প্রয়োজনে সেনা বাহিনীর সর্বাত্মক সহায়তা নেয়া হোক ৩. (রাজনৈতিক দল সমূহর প্রতি) নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত কিন্তু রাজপথে সক্রিয় এমন রাজনৈতিক প্লাটফর্মগুলো সহিংসতার রাজনীতি পরিহার করে তত্বাবধায়ক বা দল নিরপেক্ষ নয় বরং প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচনকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নতুন করে তফসিল দেয়ার দাবিতে গণ ও বঙ্গ ভবনে অবস্থান কর্মসূচি দিন ৪. (জনগণের প্রতি) ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তত্বাবধায়ক বা দল নিরপেক্ষ নয়, প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচনকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবিতে আওয়াজ তুলুন এবং সেই দল ও নেতার নেতৃত্বে এগিয়ে চলুন, যারা কোন জোট-মহাজোট-যুগপতের নামে হালুয়া-রুটির ভাগাভাগিতে অংশ নেয়নি বরং জনদাবি বাস্তবায়নে সবসময় রাজপথে ছিল।